ইন্দ্র যখন বৃত্রাসুরকে নানা ভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে হত্যা করেন তখন স্বর্গের দেবগণ ইন্দ্রকে ছি ছি করতে থাকে । তাঁরা বলে ইন্দ্র একজন বিশ্বাসঘাতক, সে নিজ মিত্রকে হত্যা করেছে, দিতির সন্তানগণকে গর্ভাবস্থায় হত্যা করতে গিয়েছে তাঁকে কেহ বিশ্বস করো না, তারপর সে ব্রক্ষহত্যা পাপী । তখন এই সকল কথা শুনে ইন্দ্র লজ্জা ও…

সকল বৈদিক ধর্মের লোকেরা কালী পূজার পরদিন দীপাবলি উৎসব করেন। এই দীপাবলি উৎসব আসলে ঐদিন রামচন্দ্র রাবণকে বধ করে অযোধ্যায় এসে স্বহস্তে নিজ রাজ্য বুঝে নেন। এ কারণে প্রজাবৃন্দ আনন্দে প্রদীপ প্রজ্বলিত করে উৎসব করেন। সেই আনন্দ ধারাকে স্মরণ করাই হচ্ছে দ্বীপাবলির আসল উদ্দেশ্য ।

কৃষ্ণ গীতার একটি শ্লোক বলে তাঁকে স্বান্ত্বনা প্রদান করেন ।“বাসাংসি জীর্নানি যথা বিহায়,নবানী গৃন্হাতি নরোহপরাণি।তথা শরীরাণি বিহায় জীর্না,ন্যান্যানি সংযাতি নবানি দেহী।।অর্থাৎ যেরূপ মানুষ জীর্ন বসন ত্যাগ করে নতুন বস্ত্র পরিধান কারেন, সেই রূপ জীবাত্মাও জীর্ণ ও পুরাতন দেহ ত্যাগ করে নতুন দেহ ধারণ করেন বা নবীন শরীর প্রাপ্ত হন । এই অমূল্য বাণী শুনিয়ে কৃষ্ণ…

ইক্ষাকু বংশের রাজা মহাভীষ স্বর্গগত হওয়ার পর একদিন ব্রক্ষার রাজসভায় গমন করেন। সেখানে গঙ্গাদেবী ছিলেন এবং তাঁর বসন উড়ে গেলে একে অপরের দিকে পলকপাত করেন। এটা ইন্দ্র বুজতে পারেন এবং দুইজনকে মর্ত্যে এসে জন্মগ্রহণ করতে বলেন। এই মহাভীষ হচ্ছেন মহারাজা শান্তনু ।

অবশ্যই ন্যায়সঙ্গত হয়েছে । কারণ সেই যুগে মৃত্যুর বিধান ছিল, সেই বিধান ছাড়া তার মৃত্যু হতো না । এই বিধান পূরণ করতে অনেকর অনেক কিছুই করতে হয়েছে । যেমন দেবী দুর্গা ভ্রমন রূপ ধারণ করেন রাবণকে হত্যা করার জন্য বানররূপে দেবতাদের আহতে হয় ইত্যাদি । জরাসন্ধ রাজাকেও চণ্ডকৌশিক মুনি বর দিয়েছিলেন যে, ভাবে জন্ম সেইভাবেই…

অভিশপ্ত কর্ণ যুদ্ধের সময় তাঁর রথচাকা পৃথিবী গ্রাস করে, তখন সে অন্তিম সময় বুঝতে পারেন। সে অর্জুনকে অনুরোধ করলো, হে! অর্জুন তুমি ধমপ্রাণ বীর সন্তান তুমি আমাকে এভাবে হত্যা করো না, ক্ষণকাল অপেক্ষা কর, আমি রথচাকা উত্তোলন করে নিই । অর্জুন কোনরূপ কর্ণপাত করলেন না, তখন কর্ণ এক ভীষণ বাণ নিক্ষেপ করে এবং অর্জুন সেই…

কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের পরই পৃথিবী থেকে কৃষ্ণের যাওয়ার সুর বেজে যায়। তখন থেকেই একে একে করে ভূভার হরণ করতে থাকে । অবশেষে তাঁর নিজ যদু বংশ ধ্বংস করেন কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের ৩৫ বছর পর ।

মোহ ত্যাগ করো, ক্লীবতা দূর করো, দুর্বলতা কাপুরুষের, লক্ষণ, আসক্তিমূলক সকাম ত্যাগ করো, এছাড়াও তিনি অর্জুনকে অজ্ঞান, মূর্খ ইত্যাদি বিশেষনে ধিক্কার দিয়েছিলেন। তাঁর চঞ্জল হৃদয়কে সংযত করতে বলেছেন ।

মহাবীর ভীম্ম নিজের জীবনের বিনিময়ে প্রতিজ্ঞাকে রক্ষা করেছেন, তাই তাঁর নাম হয় ভীম্ম, সেই ভীম্মের প্রতিজ্ঞা ও স্বয়ং কৃষ্ণ ভঙ্গ করেছেন । কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের সপ্তম দিনে ভীম্ম প্রতিজ্ঞা করেন যে, এই পঞ্জবান দ্বারাই পঞ্জ পাণ্ডবকে হত্যা করবো । কিন্তু অর্জুন কৃষ্ণের পরামর্শে দুর্যোধন সেজে ভীম্মের কাছ থেকে এই বাণ পাঁচটি নিয়ে আসেন । ভীম্ম মনে…